হোটেল সি ক্রাউন: কক্সবাজারের সমুদ্রকন্যার কোলে এক অনন্য আবাস

কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকতের মোহনায় অবস্থিত এই শহর প্রতিবছর লাখো পর্যটককে আকর্ষণ করে। সমুদ্রের নীল জলরাশি, সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য আর বালুকাবেলায় হাঁটার আনন্দ উপভোগ করতে চাইলে থাকার জন্য প্রয়োজন একটি সুবিধাজনক ও আরামদায়ক হোটেল। এমনই একটি আদর্শ স্থান হোটেল সি ক্রাউন। এই আর্টিকেলে হোটেলটির বিস্তারিত তথ্য, বুকিং পদ্ধতি, সুবিধা-অসুবিধা এবং ভাড়ার হার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

হোটেল সি ক্রাউন: এক নজরে


Picture Credit: Booking
  • ঠিকানা: সমুদ্র সৈকত রোড, কক্সবাজার। (সমুদ্র থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পথ)
  • স্টার ক্যাটাগরি: ৩-স্টার
  • কন্টাক্ট: ০৩৪১৬৪৭৯৫, ইমেইল: info@hotelseacrown.com
  • অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: hotelseacrown.com

হোটেলের অবস্থান ও পরিবেশ

Picture Credit: Hotel Sea Crown

 

হোটেল সি ক্রাউন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নিকটবর্তী একটি শান্ত ও নিরাপদ এলাকায় অবস্থিত। মূল শহরের কোলাহল থেকে দূরে, কিন্তু বাজার, রেস্তোরাঁ এবং দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে সুষম সংযোগ রয়েছে। হোটেলের রুম থেকে সরাসরি সমুদ্রের অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়, যা ভ্রমণকে করে তোলে অনন্য। রাতের বেলা সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দে গা ভাসিয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা এখানকার অতিথিদের বিশেষ পছন্দ।

রুমের ধরণ ও ভাড়া

হোটেল সি ক্রাউনে বিভিন্ন বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী রুমের সুবিধা পাওয়া যায়। ভাড়ার হার মৌসুমভেদে পরিবর্তিত হয়:

পপুলার  হোটেল সি প্যালেস: কক্সবাজারের সমুদ্রকন্যার কোলে এক আভিজাত্য অবকাশ
রুমের ধরণ সুবিধা ভাড়া (প্রতিরাত)
স্ট্যান্ডার্ড রুম এসি, ফ্রি Wi-Fi, টিভি, অ্যাটাচড বাথরুম ৳৩,০০০ – ৳৪,৫০০ (অফ-পিক)
ডিলাক্স সী ভিউ সমুদ্রের ভিউ, বালকনি, মিনি ফ্রিজ ৳৫,৫০০ – ৳৭,০০০ (পিক সিজন)
স্যুইট রুম লিভিং এরিয়া, সোফা, প্রাইভেট ডাইনিং ৳৮,০০০ – ৳১২,০০০ (স্পেশাল ইভেন্ট)

নোট:

  • পিক সিজন:নভেম্বর থেকে মার্চ (শীতকালীন ভ্রমণ মৌসুম)।
  • অফ-পিক:এপ্রিল থেকে অক্টোবর (বর্ষা ও গরমকাল)।
  • শিশু (৫ বছরের নিচে) বিনা ভাড়ায় থাকতে পারবে।

সুবিধাসমূহ


Picture Credit: Kayak

১. ডাইনিং: হোটেলে একটি মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে বাংলা, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল এবং সীফুডের স্বাদ নেওয়া যায়। সকালের খাবারে রয়েছে বাফে সিস্টেম।
২. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা: ২৪/৭ সি সি ক্যামেরা, ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং ফার্স্ট এইড সুবিধা।
৩. অন্যান্য: সুইমিং পুল (শিশুদের জন্য আলাদা জোন), ফ্রি পার্কিং, কনফারেন্স রুম বুকিং।

বুকিং পদ্ধতি

১. ওয়েবসাইট: অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্যালেন্ডার থেকে তারিখ সিলেক্ট করে অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে বুকিং নিশ্চিত করুন।
২. ফোন/ইমেইল: সরাসরি হোটেলের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে প্রি-বুকিং করতে পারেন (অ্যাডভান্স পেমেন্ট ২০%)।
৩. ট্রাভেল এজেন্ট: Klook বা বাংলাদেশের স্থানীয় ট্রাভেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বুকিং করা যায়।

পপুলার  কক্সবাজারের লং বিচ হোটেল: সমুদ্রের কোলে বেড়ানোর আদর্শ ঠিকানা

যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন


Picture Credit: Hotel Sea Crown
  • চেক-ইন/চেক-আউট:চেক-ইন সকাল ১২টা, চেক-আউট দুপুর ১২টা। লেইট চেক-আউটের জন্য অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য।
  • ক্যানসেলেশন পলিসি:বুকিংয়ের ৭২ ঘন্টা আগে ক্যানসেল করলে ফুল রিফান্ড।
  • প্রমোশন:অফ-পিক সিজনে ১৫-২০% ডিসকাউন্ট অফার করা হয়।

ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক

পজিটিভ:

  • সমুদ্রের খুব কাছাকাছি হওয়ায় প্রকৃতির সান্নিধ্য।
  • শিশুবান্ধব পরিবেশ ও সুইমিং পুল।
  • রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্টাফদের ভদ্রতা।

নেগেটিভ:

  • পিক সিজনে ভিড় বেশি হওয়ায় রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করতে হতে পারে।
  • সৈকত রোডে ট্রাফিক জ্যামের কারণে কখনও কখনও যানবাহনে সময় লাগে।

ট্রাভেল টিপস


Picture Credit: Expedia
  • সমুদ্রের পাশে হোটেল হওয়ায় রুম বুক করার সময়সী ভিউ অপশন নিলে অভিজ্ঞতা হবে দ্বিগুণ।
  • শীতকালে বুকিং আগাম করাই ভালো, কারণ এই সময়ে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় বেশি থাকে।
  • হোটেলের রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যায় লাইভ মিউজিকের আয়োজন হয়, সময়মতো গেলে উপভোগ করতে পারবেন।

সামগ্রিক মূল্যায়ন

হোটেল সি ক্রাউন পরিবার, কাপল বা ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সাশ্রয়ী ও সুপরিচালিত অপশন। সমুদ্রের কোলের শান্তি, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং সেবার মান একে কক্সবাজারের জনপ্রিয় হোটেলগুলোর তালিকায় স্থান দিয়েছে। বুকিং করার আগে ওয়েবসাইট বা সরাসরি যোগাযোগ করে লেটেস্ট অফার ও ভাড়া নিশ্চিত করে নিন।

পপুলার  হোটেল মেরিন প্লাজা: কক্সবাজারের সমুদ্রের কোলে এক অনন্য আবাস

ভ্রমণ হোক আনন্দময়!

Leave a Comment