কক্সবাজার ভ্রমণে থাকার জন্য কেন বেছে নেবেন প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল? জেনে নিন বিস্তারিত!
ভূমিকা: সমুদ্রের গন্ধে ভরা এক স্বর্গ

Picture Credit: Trip Advisor
বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। এখানকার অফুরন্ত সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর হাজারো ভ্রমণপিপাসু আসেন। তবে ভ্রমণকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে চাইলে থাকার জায়গাটা হতে হবে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং সুলভ। ঠিক এমনই একটি আদর্শ স্থান প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। সমুদ্রের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই হোটেলটির প্রতিটি কোণে রয়েছে আধুনিক সুবিধা ও প্রকৃতির মেলবন্ধন। চলুন, হোটেলটির প্রতিটি দিক জেনে নেওয়া যাক!
হোটেলের অবস্থান ও পরিবেশ
প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেলটি কক্সবাজারের কলাতলী সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পায়চারির দূরত্বে অবস্থিত। হোটেলের চারপাশে সবুজ গাছপালা এবং প্রশান্ত পরিবেশ আপনাকে শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি দেবে। এখানকার কক্ষগুলি থেকে সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়, যা ভ্রমণকে করে তোলে অনন্য।
রুমের ধরন ও ভাড়া

Picture Credit: Praasad Paradise
হোটেলটিতে বিভিন্ন বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। ভাড়া মৌসুমভেদে পরিবর্তন হয় (হাই সিজন: নভেম্বর–মার্চ, লো সিজন: এপ্রিল–অক্টোবর)।
রুমের ধরন | সুবিধা | ভাড়া (প্রতি রাত) |
স্ট্যান্ডার্ড রুম | এসি, টিভি, ফ্রি WiFi, প্রাইভেট বাথরুম | ৳৩,৫০০ – ৳৫,০০০ (লো–হাই সিজন) |
ডিলাক্স সী ভিউ | সমুদ্রের ভিউ, ব্যালকনি, মিনি বার | ৳৬,০০০ – ৳৮,৫০০ |
সুইট রুম | লিভিং এরিয়া, কিচেনেট, স্পা এক্সেস | ৳১০,০০০ – ৳১৫,০০০ |
ফ্যামিলি স্যুট | ৪ জনের থাকার ব্যবস্থা, অতিরিক্ত বেড | ৳১২,০০০ – ৳১৮,০০০ |
নোট:
- শিশু (৫ বছর বয়স পর্যন্ত) বিনামূল্যে থাকতে পারবে।
- অতিরিক্ত ব্যক্তির জন্য প্রতি জন ৳৫০০ চার্জ প্রযোজ্য।
সুবিধা ও অসুবিধা

Picture Credit: Trip Advisor
সুবিধা:
১. প্রাইভেট বিচ এক্সেস: হোটেল থেকে গাইডেড ট্রলে কলাতলী বিচে যাওয়ার ব্যবস্থা।
২. স্পা ও সুইমিং পুল: ক্লান্তি দূর করতে মালিশ ও সুইমিং পুলের সুবিধা।
৩. মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্ট: বাংলা, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল খাবারের সমাহার।
৪. ফ্রি পার্কিং: নিজস্ব গাড়ি নিয়ে আসলে নিরাপদ পার্কিং।
৫. কনফারেন্স রুম: ব্যবসায়িক মিটিং বা ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ।
অসুবিধা:
১. হাই সিজনে ভিড়: শীত মৌসুমে আগাম বুকিং না করলে রুম পাওয়া কঠিন।
২. মেনু প্রাইস: রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে।
খাওয়া-দাওয়া
হোটেলের “সী ব্রিজ” রেস্টুরেন্ট-এ প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতের Buffet ব্যবস্থা রয়েছে। স্পেশালিটি হলো তাজা সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি বাংলাদেশি পদ। এছাড়া, ২৪/৭ রুম সার্ভিসে অর্ডার করতে পারবেন নাস্তা বা হালকা খাবার।
দাম পরিসর:
- বাফে ব্রেকফাস্ট: ৳৩০০–৳৫০০ (ব্যক্তি প্রতি)।
- লাঞ্চ/ডিনার: ৳৫০০–৳১,২০০ (মেইন কোর্সের উপর ভিত্তি করে)।
বুকিং প্রক্রিয়া

১. অনলাইন বুকিং: হোটেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.prasadparadise.com.bd থেকে সরাসরি বুকিং করুন।
২. ফোনে যোগাযোগ: +৮৮০১৫৫৬৩৪৭৭২২ নম্বরে কল করে কাস্টমার কেয়ার থেকে সাহায্য নিন।
৩. থার্ড-পার্টি প্ল্যাটফর্ম: বুকিং.কম, এয়ারবিএনবি বা ট্রিপএডভাইজর থেকেও বুকিং করা যায়।
চেক-ইন/আউট সময়:
- চেক-ইন: দুপুর ১২:০০ টা।
- চেক-আউট: সকাল ১১:০০ টা।
ভ্রমণ টিপস

Picture Credit: Praasad Paradise
- সেরা সময়: নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্রমণ করলে ঠাণ্ডা আবহাওয়া পাবেন।
- দর্শনীয় স্থান: হোটেলের কাছেই রয়েছে হিমছড়ি, ইনানী বিচ, এবং মেরিন ড্রাইভ।
- সতর্কতা: সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় লাইফগার্ডের পরামর্শ মেনে চলুন।
সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQ)
Q: হোটেলে পোষা প্রাণী নিয়ে যাওয়া যাবে?
A: দুঃখিত, পোষা প্রাণী নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।
Q: বিয়ে বা অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা আছে?
A: হ্যাঁ, কনফারেন্স হলটি ১০০ জনের ইভেন্ট আয়োজনের জন্য উপযুক্ত।
উপসংহার: কেন থাকবেন প্রসাদ প্যারাডাইসে?
প্রসাদ প্যারাডাইস হোটেল শুধু একটি থাকার জায়গা নয়, এটি আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে পরিপূর্ণতা দেবে। সমুদ্রের কাছাকাছি থেকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে চাইলে এই হোটেলই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
বুকিংয়ের আগে ভেরিফাই করুন: সর্বশেষ অফার ও ডিসকাউন্টের জন্য হোটেলের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ চেক করতে ভুলবেন না!